Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭২১টি
সম্পাদনা
১৫৪ নং লাইন: | ১৫৪ নং লাইন: | ||
হে আহলে কিতাব! তোমরা কেন ইবরাহীম সম্পর্কে তর্ক করছ? তাওরাত এবং ইঞ্জিল তো তারপরেই অবতীর্ণ হয়েছে, তোমরা কি তাও বুঝ না? বস্তুতঃ তোমরাই এমন লোক যে, যে সম্পর্কে তোমাদের কিছু জ্ঞান আছে, সে বিষয়ে তো বিতর্ক করেছ, তোমরা এমন বিষয়ে কেন বিতর্ক করছ যে বিষয়ে তোমাদের কোনই জ্ঞান নেই? বস্তুতঃ আল্লাহ্ই জ্ঞাত আছেন, তোমরা জ্ঞাত নও। ইবরাহীম না ছিল ইহুদী, না নাসারা বরং তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ আত্মসমর্পণকারী, আর তিনি মুশরিক দলের অন্তর্ভুক্তও ছিল না।<ref>আলে ইমরান : ৬৫-৬৭; আরও দেখুন হাজ্জ : ৭৮; শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৬৮-৬৯।</ref> | হে আহলে কিতাব! তোমরা কেন ইবরাহীম সম্পর্কে তর্ক করছ? তাওরাত এবং ইঞ্জিল তো তারপরেই অবতীর্ণ হয়েছে, তোমরা কি তাও বুঝ না? বস্তুতঃ তোমরাই এমন লোক যে, যে সম্পর্কে তোমাদের কিছু জ্ঞান আছে, সে বিষয়ে তো বিতর্ক করেছ, তোমরা এমন বিষয়ে কেন বিতর্ক করছ যে বিষয়ে তোমাদের কোনই জ্ঞান নেই? বস্তুতঃ আল্লাহ্ই জ্ঞাত আছেন, তোমরা জ্ঞাত নও। ইবরাহীম না ছিল ইহুদী, না নাসারা বরং তিনি ছিলেন একনিষ্ঠ আত্মসমর্পণকারী, আর তিনি মুশরিক দলের অন্তর্ভুক্তও ছিল না।<ref>আলে ইমরান : ৬৫-৬৭; আরও দেখুন হাজ্জ : ৭৮; শাহিদি, তারিখে তাহলিলিয়ে ইসলাম, ১৩৯০ সৌরবর্ষ, পৃ. ৬৮-৬৯।</ref> | ||
=কিবলা পরিবর্তন= | ==কিবলা পরিবর্তন== | ||
[[আল্লামা তাবাতাবায়ী]] বলেছেন, বেশীর ভাগ সূত্রের বর্ণনার ভিত্তিতে কিবলা পরিবর্তনের ঘটনা ২য় হিজরীর রজব মাসে (মহানবির (সা.) মদিনায় প্রবেশের ১৭ মাস পর) ঘটেছিল।[<ref>তাবতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩৩১।</ref>] [[ইমাম সাদিক (আ.)]] থেকে বর্ণিত এক রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে কিবলা পরিবর্তনের আগ পর্যন্ত মুসলমানরা [[মসজিদুল আকসা]]র দিকে ফিরে নামাজ আদায় করত। এ কারণে ইহুদীরা মহানবিকে (সা.) তিরস্কার করে বলত: তুমি আমাদের অনুসারী এবং আমাদের কিবলামুখী হয়ে নামাজ পড়। এই | : ''মূল নিবন্ধ: [[কিবলা পরিবর্তন]]'' | ||
[[আল্লামা তাবাতাবায়ী]] বলেছেন, বেশীর ভাগ সূত্রের বর্ণনার ভিত্তিতে কিবলা পরিবর্তনের ঘটনা ২য় হিজরীর রজব মাসে (মহানবির (সা.) মদিনায় প্রবেশের ১৭ মাস পর) ঘটেছিল।[<ref>তাবতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩৩১।</ref>] [[ইমাম সাদিক (আ.)]] থেকে বর্ণিত এক রেওয়ায়েতের ভিত্তিতে কিবলা পরিবর্তনের আগ পর্যন্ত মুসলমানরা [[মসজিদুল আকসা]]র দিকে ফিরে নামাজ আদায় করত। এ কারণে ইহুদীরা মহানবিকে (সা.) তিরস্কার করে বলত: তুমি আমাদের অনুসারী এবং আমাদের কিবলামুখী হয়ে নামাজ পড়। এই তিরস্কারে আল্লাহর রাসুল (সা.) অসন্তুষ্ট ছিলেন। একদিন [[বানি সালামা মসজিদ|বানি সালামা মসজিদে]] যোহরের নামাজ আদায়ের সময় [[হযরত জীবরাইল (আ.)]] অবতীর্ণ হলেন এবং নামাজরত অবস্থায় তাঁকে কা’বার দিকে ঘুরিয়ে দিলেন এবং [[কিবলা]] সংশ্লিষ্ট আয়াত (বাকারাহ : ১৪৪) অবতীর্ণ হল। অতএব, মহানবি (সা.) যোহরের নামাযের ২ রাকাত বাইতুল মোকাদ্দাসের দিকে ফিরে এবং ২ রাকাত নামাজ কা’বার দিকে ফিরে আদায় করলেন। এ ঘটনায় ইহুদীরা প্রতিবাদ ও শোরগোল করল।<ref>তাবতাবায়ী, আল-মিযান, ১৩৯০ হি., খণ্ড ১, পৃ. ৩৩১।</ref> | |||
<center>سَيَقُولُ السُّفَهَاء مِنَ النَّاسِ مَا وَلاَّهُمْ عَن قِبْلَتِهِمُ الَّتِي كَانُواْ عَلَيْهَا قُل لِّلّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ يَهْدِي مَن يَشَاء إِلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ؛ | <center>سَيَقُولُ السُّفَهَاء مِنَ النَّاسِ مَا وَلاَّهُمْ عَن قِبْلَتِهِمُ الَّتِي كَانُواْ عَلَيْهَا قُل لِّلّهِ الْمَشْرِقُ وَالْمَغْرِبُ يَهْدِي مَن يَشَاء إِلَى صِرَاطٍ مُّسْتَقِيمٍ؛ |