বিষয়বস্তুতে চলুন

সূরা নাস: সংশোধিত সংস্করণের মধ্যে পার্থক্য

২১ নং লাইন: ২১ নং লাইন:


== '''আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদায়ক শয়তান''' ==
== '''আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদায়ক শয়তান''' ==
খ্যাতনামা হাদীসবেত্তা শেখ সাদুক তার মহাগ্রন্থ ‘আমালী শেখ সাদুক’ এ ইমাম জাফর সাদীক (আ.) থেকে উদ্ধৃত একটি হাদীসে উল্লেখ করেন: যখন সূরা আলে ইমরানের ১৩৫নং আয়াতটি নাযিল হয়,
খ্যাতনামা হাদীসবেত্তা [[শেখ সাদুক]] তার মহাগ্রন্থ ‘আমালী শেখ সাদুক’ এ ইমাম জাফর সাদীক (আ.) থেকে উদ্ধৃত একটি হাদীসে উল্লেখ করেন: যখন সূরা আলে ইমরানের ১৩৫নং আয়াতটি নাযিল হয়,


وَ الَّذينَ إِذا فَعَلُوا فاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ ذَکَرُوا اللَّهَ فَاسْتَغْفَرُوا لِذُنُوبِهِمْ  
وَ الَّذينَ إِذا فَعَلُوا فاحِشَةً أَوْ ظَلَمُوا أَنْفُسَهُمْ ذَکَرُوا اللَّهَ فَاسْتَغْفَرُوا لِذُنُوبِهِمْ  
২৭ নং লাইন: ২৭ নং লাইন:
“আর যারা যখন কোন অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয় অথবা নিজেদের প্রতি অবিচার করে। অতঃপর আল্লাহকে স্মরণ করে নিজেদের গুনাহসমূহের ক্ষমা প্রার্থনা করে।”  
“আর যারা যখন কোন অশ্লীল কাজে লিপ্ত হয় অথবা নিজেদের প্রতি অবিচার করে। অতঃপর আল্লাহকে স্মরণ করে নিজেদের গুনাহসমূহের ক্ষমা প্রার্থনা করে।”  


তখন ইবলীস মক্কার সাবির পর্বতের চূড়ায় আরোহন করে তার সহযোগী দৈত্য-দানব ও শয়তানদেরকে আহ্বান করে। এ সময় উপস্থিত শয়তানরা তাদের সর্দার ইবলীসকে লক্ষ্য করে বলল: হে আমাদের সর্দার! আপনি কি কাজে আমাদেরকে আহ্বান করেছেন? সে বলল: এ আয়াতটি নাযিল হয়েছে, তোমাদের মধ্যে কে এ পথকে (বান্দার ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমকে) রোধ করতে পারবে। এমন সময় জনৈক দৈত্য বলল: আমি এ দায়িত্ব পালন করতে পারব। কিন্তু ইবলীস বলল: তোমার পক্ষে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না। এমতাবস্থায় খান্নাস শয়তান তথা আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতা শয়তান বলল: এ কাজটি আমার উপর অর্পন করেন। তখন ইবলীস তাকে জিজ্ঞাসা করল যে, তুমি কিভাবে এ দায়িত্ব পালন করবে। উত্তরে সে বলল: আমি তাদেরকে বিভিন্ন প্রলোভন ও প্রতারণার মাধ্যমে গুনাহে প্ররোচিত করব। অতঃপর যখন তারা গুনাহে লিপ্ত হবে, তখন আমি তাদেরকে ক্ষমা প্রার্থনা থেকে বিরত রাখব কিংবা এ বিষয়টি তাদেরকে ভুলিয়ে দিব। এ কথা শোনার পর ইবলীস শয়তান বলল: হ্যাঁ, তুমিই এ কাজটি করতে পারবে। ফলে চিরদিনের জন্য এ দায়িত্ব তার উপর ছেড়ে দেয়া হয়। {শেখই সাদুক, আমালী, খণ্ড ১, পৃ. ৫৫১}
তখন [[ইবলীস]]] মক্কার [[সাবির পর্বত|সাবির পর্বতের]] চূড়ায় আরোহন করে তার সহযোগী দৈত্য-দানব ও শয়তানদেরকে আহ্বান করে। এ সময় উপস্থিত শয়তানরা তাদের সর্দার ইবলীসকে লক্ষ্য করে বলল: হে আমাদের সর্দার! আপনি কি কাজে আমাদেরকে আহ্বান করেছেন? সে বলল: এ আয়াতটি নাযিল হয়েছে, তোমাদের মধ্যে কে এ পথকে (বান্দার ক্ষমা প্রার্থনার মাধ্যমকে) রোধ করতে পারবে। এমন সময় জনৈক দৈত্য বলল: আমি এ দায়িত্ব পালন করতে পারব। কিন্তু ইবলীস বলল: তোমার পক্ষে এ কাজ সম্পন্ন করা সম্ভব না। এমতাবস্থায় খান্নাস [[শয়তান]] তথা আত্মগোপনকারী কুমন্ত্রণাদাতা শয়তান বলল: এ কাজটি আমার উপর অর্পন করেন। তখন ইবলীস তাকে জিজ্ঞাসা করল যে, তুমি কিভাবে এ দায়িত্ব পালন করবে। উত্তরে সে বলল: আমি তাদেরকে বিভিন্ন প্রলোভন ও প্রতারণার মাধ্যমে গুনাহে প্ররোচিত করব। অতঃপর যখন তারা [[গুনাহ|গুনাহে]] লিপ্ত হবে, তখন আমি তাদেরকে [[ক্ষমা প্রার্থনা]] থেকে বিরত রাখব কিংবা এ বিষয়টি তাদেরকে ভুলিয়ে দিব। এ কথা শোনার পর ইবলীস শয়তান বলল: হ্যাঁ, তুমিই এ কাজটি করতে পারবে। ফলে চিরদিনের জন্য এ দায়িত্ব তার উপর ছেড়ে দেয়া হয়। {শেখই সাদুক, আমালী, খণ্ড ১, পৃ. ৫৫১}


== '''শানে নুযুল''' ==
== '''শানে নুযুল''' ==
Automoderated users, confirmed, templateeditor
১,৭২১টি

সম্পাদনা